মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসন সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি বারবারই দলীয় নেতাদের থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীদের। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিচ্ছে বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দল। সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের প্রার্থী নিয়ে একাধিক বৈঠক হলেও চূড়ান্ত কোন মনোনয়ন এখনো হয়নি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে ২৭ অক্টোবর ভার্চুয়াল এক মতবিনিময় সভায় সিলেট জেলার পাশাপাশি বিভাগীয় অন্যান্য আসনের অনেক প্রার্থীও দাওয়াত পেয়েছেন বলে তথ্য রয়েছ।
মৌলভীবাজার-২ আসনে বিএনপির দলীয় প্রায় ডজন খানেক মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ২০ দলীয় জোটের শরীক দল জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এর কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক বারবারের সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান। এই আসনে একাধিকবার ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৮ এর নির্বাচনে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটিও গণ ফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শরীক দল হিসেবে এই আসনে জোটিও প্রার্থী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে আছেন নওয়াব আলী আব্বাস খান। স্থানীয় নেতাকর্মীদের একটি সুত্র জানায়, আলী আব্বাস সাহেবকে একাধিকবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কর্মীদের দাবী এবার দল থেকে প্রার্থী দেয়া। দলীয় প্রার্থী তালিকায় রয়েছন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এ্যাড আবেদ রাজা, আরেক সহ সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
দলীয় প্রার্থীতায় নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান। তার ঘনিষ্ঠ এক সুত্র জানায় তিনি মূলত মৌলভীবাজার-৩ এর প্রার্থী, মৌলভীবাজার-৩ এ তাকে দেওয়া না হলে মনোনয়ন বোর্ডের কাছে তিনি বিকল্প হিসেবে মৌলভীবাজার-২ এর মনোনয়নও প্রত্যাশা করতে পারেন।
বৃহৎ জোট গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি এবার শরীক দলকে বড় ধরণের একটি ছাড় দিতে পারে। তবে এখনো বিএনপি কাদের নিয়ে জোট করবে তা নিশ্চিত নয়। জোটের সম্ভাবনায় থাকা জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনসিপি) ও সক্রিয় রয়েছে মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনে। তবে সামনের নির্বাচনে জোট হলেও স্ব স্ব দলের প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করতে হবে গুঞ্জন রয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় একটি সুত্র জানায়, দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলেও জোটিও স্বার্থে অনেক আসন শরীক দলকে ছেড়ে দিতে হবে।